বিসিএস ক্যাডার চয়েস লিস্ট

বিসিএস ক্যাডার চয়েস লিস্ট

বিসিএস বা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস কমিশন প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগের জন্য উপযুক্ত এবং যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি নির্বাচন করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। সরকারি চাকুরিতে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করতে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা ক্যাডাররাই বিসিএস ক্যাডার নামে পরিচিত। বিসিএস ক্যাডার চয়েস লিস্ট ও বিভিন্ন ধরনের ক্যাডারের সুযোগ-সুবিধা ও অসুবিধা কী – এ নিয়ে অনেকের মধ্যেই বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন থাকে। এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়েই সাজানো হয়েছে এই ব্লগটি। দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।

বিসিএস ক্যাডার কয় ধরনের?

বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে যে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ক্যাডার কতটি বা বি সি এস ক্যাডার কয়টি? বিসিএস ক্যাডার সাধারণত তিন ধরনের হয়:

১। সাধারণ ক্যাডার

২। শিক্ষা ক্যাডার

৩। টেকনিক্যাল ক্যাডার বা প্রফেশনাল ক্যাডার

সাধারণ ক্যাডার:

সাধারণ ক্যাডার -এ সবাই আবেদন করতে পারে। অর্থাৎ আপনি অনার্স যে বিষয়েই পড়েন না কেন সাধারণ ক্যাডার -এ আবেদন করতে পারবেন। অনার্স পাশকৃত সকলেই বিসিএস সাধারণ ক্যাডার -এ আবেদন করতে পারে। বিসিএস সাধারণ ক্যাডারগুলো নিম্নরূপ:

ক। পররাষ্ট্র

খ। প্রশাসন/ পুলিশ

গ। অডিট/ কাস্টমস/ ট্যাক্স

ঘ। তথ্য ও আনসার

ঙ। রেলওয়ে ও খাদ্য

চ। সমবায় ও পরিবার

শিক্ষা ক্যাডার:

নির্দিষ্ট বিষয়ে পড়াশোনা করে সেই বিষয়ের শিক্ষকতার পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করা যায় শিক্ষা ক্যাডার হয়ে। উদাহরণস্বরূপ ধরা যাক, আপনি যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স সম্পন্ন করেছেন, এখন আপনি বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষা ক্যাডার হয়ে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হয়ে যেতে পারবেন।

আপনি চাইলে শিক্ষা ক্যাডার এর পাশাপাশি সাধারণ ক্যাডার – এও আবেদন করতে পারবেন।

কীসের ভিত্তিতে বিসিএস ক্যাডার চয়েস লিস্ট সাজাবেন?

ক্যাডার পদ কীভাবে বণ্টন করা হয় – এটা বুঝতে পারলে ক্যাডার চয়েস বা পছন্দক্রম ঠিক করা অনেকাংশে সহজ হয়ে যায়। ক্যাডার চয়েসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো – নিজের আগ্রহ, পরিবার, চাকরির সুযোগ-সুবিধা, কর্মপরিবেশ, কর্মস্থল, পঠিত বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্ক, সামাজিক মর্যাদা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা। আমাদের সমাজে ক্যাডারগুলো সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। আবার আমাদের সামাজিক বাস্তবতা ও অন্যান্য কারণে অনেকে  চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর হতাশায় ভোগেন।

এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে না চাইলে পছন্দক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়গুলো ভালোভাবে বিবেচনা করে অনলাইনে আবেদন করার আগে একটা খসড়া করে নেওয়া ভালো। ক্যাডার চয়েস দেওয়ার সময় মনে করবেন আপনার সামনে সব ক্যাডার রাখা আছে। সব কিছু বিবেচনা করার পর আপনি কোন চাকরিটি করতে চান, সেটি প্রথমে রাখুন। আপনার প্রথম পছন্দের চাকরিটি না পেলে কোন চাকরিটি করতে চান, সেটি ২ নম্বরে রাখুন। এভাবে আপনি যে চাকরিগুলোর যেকোনোটি হলেই করবেন সব লিস্টে রাখবেন।

Suggested Blogs

Related products