শুধু আইন জানাই যথেষ্ট নয়, আইনের পেছনে যে নীতি আছে তাও জানা দরকার। একথা যেমন সত্য যে আইন নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে শৃঙ্খলা এনে মানুষকে ততটুকু শান্তি দিতে চায় যতটুকু না হলে শুধু যে জীবনের স্বস্তি নষ্ট হয়, তা নয়, বরং তার উদ্ভাবনী শক্তিও আহত হয়, তেমনি একথাও সত্য যে যেহেতু আইনপ্রণেতারা দূর ভবিষ্যত দেখাতে পায় না, তাই তাদের প্রণীত আইন সময়ের গতির সাথে সমন্বয় রাখতে না পেরে প্রগতির পথে অহেতুক অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় এখানে আসে আইন দর্শনের ভূমিকা
কোন নীতি কল্যাণকর তা শুধু বিশেষজ্ঞ নন, সকল মানুষকেই ভাবতে হবে। এ ভাবনার ফলে আইনের বিবর্তন সরলপথে হবে না, পথ বেকে-চুরে যাবে, তবুও এ ভাবনাকে থেমে যেতে দেয়া যাবে না।
বাংলাদেশের সংবিধানের বিবর্তনের উদাহরণ দিলে নীতির গতিবিধির বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
বাংলাদেশের সংবিধান যখন রচিত হয়, তখন যে দলের হাতে ক্ষমতা ছিল, তারা মনে করেছিলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির মধ্যে থাকবে সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। সেভাবে সংবিধান রচিত হয়। কয়েক বছর পর যে দল ক্ষমতায় আসেন, তারা মনে করেন, সমাজতন্ত্র নয় ব্যক্তি মালিকানা এবং ধর্মনিরপেক্ষতা নয়, আল্লাহর প্রতি আস্থাই হওয়া উচিত এদেশের সকল আইনের মূলভিত্তি। সংবিধান সেভাবে পরিবর্তিত হয়। স্বাভাবিকভাবে এ মূলনীতি পরিবর্তনের ধাক্কা বাংলাদেশের অনেক আইন ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে।
কোন নীতি গ্রহণযোগ্য এবং কোন নীতি নয়, তা নির্ধারণের চূড়ান্ত অধিকর্তা হচ্ছে, জনগণ । সুতরাং জনগণকে এ বিষয়ে সজাগ হতে হবে। জনগণ যদি সজাগ না হয় তবে দেশের দুর্ভাগ্যক্রমে ভুল মূলনীতি গৃহীত হলে ভোগান্তি হবে তাদেরই। দেশে ভাল আইন চাইব অথচ কোন নীতি
Title | আইন দর্শনের ভাষ্য |
Author | গাজী শামছুর রহমান |
Publisher | খোশরোজ কিতাব মহল লিমিটেড |
Last Edition | ২০২২ |
Number of Pages | ১৮৪ |
Paper Type | অফসেট ৭০ গ্রাম সাদা কাগজ |
Binding Type | Hard cover |
ISBN | 984-438-184-7 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |