পবিত্র কুরআনে বহুল উল্লেখিত ঘটনাবলীর মাঝে নূহ (আঃ) এর প্লাবনের ঘটনাটি অন্যতম। যা কিনা প্রায় সব সংস্কৃতি বা কৃষ্টিতেই উল্লেখ রয়েছে। নূহ (আঃ) এর উপদেশ ও সাবধান বাণীর প্রতি তাঁর সম্প্রদায়ের উদাসিনতা, তাদের প্রতিক্রিয়া আর ঘটনাটি কিভাবে ঘটেছিল তা বহু আয়াতেই বিশদভাবে বর্ণিত রয়েছে। সূরা আনকাবুতের 14 আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আর আমি নূহকে তার সজাতির কাছে পাঠালাম, অনন্তর তিনি তাদের মধ্যে পঞ্চাশ বর্ষ কম এক হাজার বছর অবস্থান করলেন এবং বুঝাতে থাকলেন; অতঃপর অন্যায়ে লিপ্ত থাকার কারণে তারা তুফানে পতিত হল। আর তারা ছিল অত্যন্ত যালেম লোক।”
নূহ (আঃ) প্রেরিত হয়েছিলেন তাঁর সম্প্রদায়ের কাছে, যারা আল্লাহর বাণী থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল এবং তাঁর সঙ্গে শরীক সাব্যস্ত করে আসছিল। নূহ (আঃ) এসেছিলেন তাদের আহ্বান জানাতে। শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করার ও তাদের বিরুদ্ধাচরণের সমাপ্তি ঘটানোর জন্য। নূহ (আঃ) তার সম্প্রদায়কে বারংবার আল্লাহর আদেশের প্রতি বশ্যতা স্বীকার করার কথা বলা ও তাদেরকে আল্লাহ তায়ালার ক্রোধানল সম্পর্কে সতর্ক করে দেয়া সত্ত্বেও তারা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেই যাচ্ছিল এবং আল্লাহর সঙ্গেও ক্রমাগত শরীক সাব্যস্ত করে যেতে লাগলো।
ফেরাউন ও তার পরিষদ তাদের পূর্বপুরুষদের ধর্ম বলে কথিত বহু ঈশ্বরবাদ ও পৌত্তলিকতায় এমন গভীরভাবে নিমগ্ন ছিল যে, তারা কখনো তা পরিত্যাগ করার কথা বিবেচনাই করত না। এমনকি মূসা (আঃ) এর হাত সাদা হয়ে বের হয়ে আসা ও তাঁর লাঠি সাপে পরিণত হওয়া এরূপ বহু অলৌকিক ব্যাপারের মাঝে এই দুইটি প্রধান ব্যাপারও তাদেরকে কুসংস্কার হতে সরিয়ে আনতে পরেনি। উপরন্তু তারা তাদের কুসংস্কারকে খোলাখুলি প্রকাশ করতে লাগলো।
আল্লাহ তায়ালা সূরা ইউনুস এর 90 আয়াতে বলেন, আর আমি বনি ইসরাইলদেরকে সমুদ্র পার করে দিলাম, অতঃপর আপন সৈন্য সামন্ত সহ তাদের পশ্চাদ্ধাবন করলো জুলুম ও নির্যাতনের উদ্দেশ্যে, অবশেষে সে যখন নিমজ্জিত হতে লাগলো তখন ব্যাকুল হয়ে বলতে লাগলো, “আমি ঈমান আনিতেছি যে সেই সত্ত্বা ব্যতীত কোনো মাবুদ নাই, যাঁহার উপর বনী ইসরাইল ঈমান আনিয়াছে এবং আমি মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত হইতেছি।”
Title | নূহ (আঃ) এর মহাপ্লাবন এবং নিমজ্জিত ফেরাউন |
Author | হারুন ইয়াহিয়া |
Publisher | খোশরোজ কিতাব মহল |
Last Edition | Last Edition, 2005 |
Number of Pages | 176 |
Binding Type | হার্ডকভার |
ISBN | 9844380170 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |