রায় লেখার কৌশল
বাংলাদেশের বিচারকগণ বিচার শেষ করিয়া যে রায় লিখেন, সে রায় লেখার কৌশল এই পুস্তকের বিষয়বস্তু। সালিস বা মধ্যস্থতাকারিগণ কখনো কখনো রায় দিয়া থাকেন, সেই রায় এই পুস্তকের আলোচনার মধ্যে আসে নাই। কোন বিশেষ সমস্যা বা প্রশ্নের উপর অনেক সময় বিশেষজ্ঞ বা পণ্ডিতগণ রায় দিয়া থাকেন, সেই রায়ও এই পুস্তকের বিষয়বস্তু নয় ।
রায়ের বিষয়ে বিচারক সর্বশক্তিমান। কোন ব্যক্তি তাহাকে প্রভাবিত করে না ; কোন শক্তি তাহাকে শাসন করে না ; অর্থ তাহাকে প্রলুব্ধ করে না, এমনকি তাহার নিজের আদর্শ বা বিশ্বাস রায় দিবার ক্ষেত্রে তাহাকে আচ্ছন্ন করে না। আবার অন্য অর্থে বিচারক একেবারেই অর্থাৎ সম্পূর্ণভাবে শক্তিহীন । যাহা সাক্ষ্য-প্রমাণে পাওয়া যায় এবং আইন যাহা নির্দেশ দেয়, তদনুযায়ী রায় দিতে হয় । তাহার বাহিরে যাইবার অধিকার বিচারকের নাই । সুতরাং সেই নিরিখে বিচারক একেবারেই শক্তিহীন ।
বিচারকের দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায় তাহার রায়ে। রায়ের মধ্যে যেমন সিদ্ধান্ত থাকে, তেমনি সিদ্ধান্তের পিছনে যুক্তিও থাকে। সিদ্ধান্তকে যেমন স্পষ্ট হইতে হয় তেমনি যুক্তিকেও পরিচ্ছন্ন হইতে হয়। কাজটি তাই সহজ নয়। সহজ নয় বলিয়াই এই কর্মটি কোনদিন অদক্ষ লোকের দায়িত্বে অর্পণ করা শুভ হইতে পারে না ।
রায় লেখার কাজে যান্ত্রিকতা আছে, আছে নিয়মাবদ্ধতা ও নৈর্ব্যক্তিকতা। কিন্তু উহাতেই শেষ নয় । উহাদের বাহিরেও আছে বিচারকের ব্যক্তিগত কুশলতা, অভিজ্ঞতা এবং সর্বোপরি মানবতা। এই কাজ তাই যন্ত্র দিয়া হইবার নয়।
কতিপয় ব্যতিক্রমী রায় ব্যতীত সকল রায়ের বিরুদ্ধে আপীলের বিধান আছে। রায় কতটুকু সঠিক এবং নির্ভুল, তাহা আপীলে বিচার করা হয়। যে বিচারকের সকল
Title | রায় লেখার কৌশল |
Author | গাজী শামছুর রহমান |
Publisher | খোশরোজ কিতাব মহল লিমিটেড |
Last Edition | ২০১৬ |
Number of Pages | ৬৭২ |
Paper Type | অফসেট ৭০ গ্রাম সাদা কাগজ |
Binding Type | Hard cover |
ISBN | 984-438-132-4 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |