জেরার কলা কৌশল
আদালতের দৈনন্দিন কার্যক্রমে এবং বিচার পরিচালনে সাক্ষ্য গ্রহণ একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। মামলার পক্ষসমূহ তাহাদের আরজি, জবাবের বক্তব্য এবং তদপোষকতায় দাখিলকৃত দলিলপত্র প্রমাণের জন্য নিজেরা মৌখিক সাক্ষ্য দেয় এবং মানিত সাক্ষিগণকে সাক্ষ্য দিতে আহবান করে। একপক্ষের সাক্ষ্যকে অপরপক্ষ খণ্ডনের জন্য যেমন সাক্ষী দিয়া থাকে তেমনি বিপক্ষের সাক্ষীকে জেরা করিয়া তাহার জবানবন্দির বক্তব্যকে খণ্ডন বা মিথ্যা প্রমাণে প্রবৃত্ত হয়। জেরা ব্যতীত সাক্ষ্যের মূল্য অনেক কম। বিচারক পক্ষবৃন্দকে শ্রবণ না করিয়া বিচার করিতে পারেন না। পক্ষবৃন্দকে শ্রবণ বলিতে তাহাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করাকে বুঝায়। সাক্ষ্যগ্রহণ বলিতে জবানবন্দি এবং জেরাকে বুঝায়। জবানবন্দি শেষ হওয়ামাত্র তাহাকে জেরা করিবার নিব্যূঢ় অধিকার প্রতিপক্ষের উপর বর্তায়। মামলার বহুলাংশে দেখা যায়, জেরা হইতে প্রকৃত সত্য বাহির হইয়া আসে। তাই জেরার উপর নির্ভর করে মামলার গতি তথা কোন পক্ষের জয়-পরাজয়।
বিচার পরিচালনে সবচেয়ে কঠিন পর্ব সাক্ষ্যগ্রহণ – বিশেষ করে জেরা পর্ব। বিচারক, উভয়পক্ষের কৌসুলী এবং কাঠগড়ায় দণ্ডায়মান সাক্ষিসহ একযোগে একাগ্রতা এবং মনোযোগ নিবেশনে কাজ করিতে হয় । কোন প্রশ্ন জেরায় জিজ্ঞাসা করা যাইবে কিনা এই মর্মে খুব সূক্ষ্ম কিন্তু অতীব কঠোর সমস্যা জাগিয়া থাকে। বিচারককে ইহার সমাধান দিতে হয়। সাক্ষ্য হিসাবে কতটুকু গ্রহণযোগ্য বা কি গুরুত্ব বহন করে এ মর্মেও জবানবন্দি এবং জেরাকালীন বহু সমস্যা দেখা দেয়। জেরা করা খুব দক্ষতার বিষয়। কোন কৌসুলীর কৌশল তথা তাহার বহর বা দক্ষতা জেরা ও সওয়াল-জওয়াবেই