মুহাম্মদ সাইফুল আলম
দেউলিয়া আইনে দেউলিয়ার কোনো সংজ্ঞা দেওয়া না থাকলেও প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী দেউলিয়া বলতে এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বুঝায়, যে বা যারা ঋণ পরিশোধ করতে অক্ষম। যে ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে অথচ তার নিরাপত্তার প্রয়োজন রয়েছে, সে নিজে অথবা তার পাওনাদার ঋণগ্রস্তকে দেউলিয়া ঘোষণা করার উদ্যোগ নিতে পারে। তবে আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষণার আগে কেউ নিজকে দেউলিয়া ঘোষণা করতে পারে না। ইংল্যান্ডের দেউলিয়া আইনের ভিত্তিতে ১৯০৯ সালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় এবং ১৯২০ সালে দেশের অন্যান্য স্থানে দেউলিয়া আইনটি প্রয়োগ শুরু হয়। এর
আইনজ্ঞ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের লেখা ‘দেউলিয়া বিষয়ক আইন ও বিধিমালা’ গ্রন্থটিতে আলোচিত বিষয়গুলো হচ্ছে— ১. দেউলিয়া কী, ২. আদালতের গঠন, ক্ষমতা ও প্রয়োগ, ৩. দেউলিয়া কর্ম, আরজি ঘোষণাদেশ ও রদ, ৪. আপোস-মীমাংসা, পুনর্বিন্যাস ও পুনর্গঠন পরিকল্পনা, ৫. দায়গ্রস্ত দেউলিয়া ও দায়মুক্তি, ৬. সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা, ৭. অপরাধ ও দণ্ডসমূহ ৮. দায়গ্রস্ত দেউলিয়ার অযোগ্যতা, ৯. কার্যধারায় বণ্টনযোগ্য সম্পদের নিষ্পত্তি, ১০. আপীল ও পুনরীক্ষণ ইত্যাদি।
দেউলিয়া বিষয়ক আইন ও বিধিমালা মুহাম্মদ সাইফুল আলম
ষয়ক এই মূল্যবান গ্রন্থটি দ্বারা আইন-সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সবিশেষ উপকৃত হবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।